পিরোজপুরে ডাকাতি করে পালানোর সময় গণপিটুনিতে নিহত ১

পিরোজপুর সদর উপজেলায় ডাকাতি করে পালানোর সময় গণপিটুনিতে নিহত হয়েছেন এক ডাকাত। আহত অবস্থায় আরেকজনকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করেছেন স্থানীয়রা।

শনিবার দিবাগত রাতে উপজেলার পশ্চিম দুর্গাপুর গ্রামের ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক সদস্য অনুকূল চন্দ্র রায় ওরফে দুলালের বাড়িতে ডাকাতির পর এ ঘটনা ঘটে।

নিহতের নাম মহরাজ হাওলাদার (৪০)। তিনি ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার মোলুহার গ্রামের সোহারাব হোসেন হাওলাদারের ছেলে। তিনি বরিশাল শহরে একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন।

আটক ব্যক্তি সবুজ হাওলাদার (৫৫), বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার দেহেরগাতি গ্রামের মৃত ফজর আলী হাওলাদারের ছেলে।

পিরোজপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রবিউল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

পিরোজপুর সদর থানার উপপরিদর্শক মোল্লা রমিজ জাহান জুম্মা দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, রাত আড়াইটা দিকে ফোন পেয়ে এসআই রাধা রমনের নেতৃত্বে একটি পুলিশ টহল দল ঘটনাস্থল থেকে দুইজন আহত ব্যক্তিকে উদ্ধার করেন। তাদের পিরোজপুর সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মহরাজকে মৃত ঘোষণা করেন।

ডাকাত দলের অন্য সদস্যরা লুট করা মালামালসহ পালিয়ে যায়।

পুলিশ জানায়, মহরাজের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় কমপক্ষে ছয়টি ডাকাতি ও চুরির মামলা রয়েছে।

ভুক্তভোগী দুলালের ভাই অমলেশ চন্দ্র রায় দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, রাতের কোনো এক সময় ৭–৮ জন ডাকাত দুলালকে অস্ত্রের মুখে ধরে দরজা খুলতে বাধ্য করে। পরে তারা তিনটি স্বর্ণের চেইন, চার জোড়া কানের দুল, দুই জোড়া বালা, অন্যান্য স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করে নেয়।

দুলালের স্ত্রী লিপিকা রানীর ফোন পেয়ে পিরোজপুর শহরে থাকা অমলেশ স্থানীয়দের খবর দেন। পরে তারা ডাকাতদের ধাওয়া করে দুইজনকে ধরে ফেলেন।

ওসি রবিউল জানান, ডাকাতির একটি মামলা হয়েছে এবং মহরাজ হত্যার ঘটনায় আরেকটি মামলা থানায় দায়ের করা হবে।

Related Articles

Latest Posts